Flight delayed at the Airport
- March 30, 2024
- 0
আমরা যারা ভ্রমণ করি তারা সচরাচর বিমানে চড়েই থাকি। যদিও ব্যাক্তিগত ভাবে আমি বিমানে ভ্রমণ করাটাকে কোনো আহামরি কিছু মনে করিনা এবং পছন্দও করিনা। যদি কোনো ব্যাবসায়ীক ট্যুর
আমরা যারা ভ্রমণ করি তারা সচরাচর বিমানে চড়েই থাকি। যদিও ব্যাক্তিগত ভাবে আমি বিমানে ভ্রমণ করাটাকে কোনো আহামরি কিছু মনে করিনা এবং পছন্দও করিনা। যদি কোনো ব্যাবসায়ীক ট্যুর
আমরা যারা ভ্রমণ করি তারা সচরাচর বিমানে চড়েই থাকি। যদিও ব্যাক্তিগত ভাবে আমি বিমানে ভ্রমণ করাটাকে কোনো আহামরি কিছু মনে করিনা এবং পছন্দও করিনা।
যদি কোনো ব্যাবসায়ীক ট্যুর অথবা প্রয়োজনে দ্রুত স্থানান্তরিত হতে হয় তাহলে সেটি অন্য প্রসঙ্গ। নিজেকে জানতে, প্রকৃতি জানতে, পৃথিবীকে জানতে হলে তাদেরকে ঘেষে কাছ থেকে দেখতে হয়।
বিমানে কমটাকায় টিকিট কে না পেতে চায়? তবে কমটাকায় টিকিট পাওয়া চারটিখানি কথা না কিন্ত, এর জন্য আপনাকে বেশ দূর্ভোগ পোহাতে হবে। আর যদি ভ্রমণ পরিকল্পনার বহু আগে টিকিট করে রাখেন তাহলে অন্যকথা।
কম খরচে বিমানের টিকিট পেতে হলে সাধারণত এ কয়টি জিনিসের সম্মুখীন হরহামেশাই হতে হয় যেমন- দূরবর্তী ফ্লাইট গুলোতে বেশি ট্রানজিট থাকে, ফ্লাইট অনেকগুলো ক্যান্সেল বা দেড়ি হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। কেননা আপনি যখন টিকিট করবেন তখন আপনার টিকিটিং পোর্টালটিই আপনাকে এমনভাবে নিয়ে যাবে, যেখানে ডিসকাউন্ট হয়, কম যাত্রী হয় এছাড়াও আরাও অনেক কিছু।
যারা বাজেট ট্রাভেলার নিশ্চয়ই এগুলোর তোয়াক্কা করেন না! কারণ তারা ভ্রমণকে একধরনের প্রফেশনাল পর্যায়েই নিয়ে যান, তারা একটা খরচ বাচিঁয়ে আরেকটা ট্রিপ দেয়া চেষ্টা করেনই। তাই আমাদের বাজেট ট্রাভেলারদের জন্যই আজকের এ লেখা। সবসময় কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যতে পৌঁছে সোফাবেড চেয়ারগুলো খুঁজতে চেষ্টা করবে, এখন প্রায় অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব বিমানবন্দরেই এই চেয়ারগুলো পাওয়া যায়।
আপনার কাঙ্ক্ষিত ফ্লাইট যত ১ ঘন্টার অধিক থেকে থাকলে এই কাজটি করতে ভুলবেন না। এক ঘন্টার কম হলে উক্ত এয়ারপোর্টে আপনি নতুন হলে ঘুরেই কাটিয়ে দিতে পারবেন। তবে এর বেশি সময় ট্রানজিট / দেড়ি হলে অবশ্যই বেড খুঁজে শুয়ে নিজের শরীরকে সতেজ রাখার চেষ্টা করবেন। কেননা আপনি নিজে সুস্থ না থাকলে ভ্রমমের সঠিক আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন না। নিজের ভ্রমণের খরচ বাচিঁয়ে চলাকে কখনো লজ্জা মনে করবেন না।
ওপরে যে ব্যাক্তি ফিচার ছবিটিতে ঘুমন্ত অবস্থায় আছে সেটি আমি। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেবার আমি অনেক প্রফেশনাল সলো ট্রাভেলারদের সাথে পরিচিত হই তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ইউরোপীয় ও আমেরিকার নাগরিক দেখতে পেয়েছি। তাদের ও আমাদের মধ্যে পার্থক্য অনেক। আআমাদের দেশের অনেক উদিয়মান ট্রাভেলাররা লোক দেখানো ট্রাভেল করেন, শো-অফ করতে যেয়ে একপর্যায়ে তাদের শূন্য পকেটে ঘরে ফিরতে হয়। যেটি কিনা আমি অন্যদেশের ট্রাভেলারদেরদে দেখিনি।
আমরা যখন এই লম্বা সোফা বেড গুলোতে ঘুমোই তখন, অনেকে চিন্তা করেন কে কিছু বলবে, কেউ চুরি করবে ইত্যাদি ইত্যাদি। ভীনদেশীদের আমি মোঠেও এমনটা করতে দেখিনি। তারা নি:সংকোচে শুয়ে পরে লম্বা ঘুম দেন। আর আমরা তখন বেড মিস করে চেয়ে চেয়ে দেখি, বলি যে ইশ বেডটা যদি আমি পেতাম।
আজকের এই গল্পটি অগছালো থাকলো, বিস্তারিত এমন অনেক ঘটনা নিয়ে এই Backpacker Abeer এর ব্লগে হাজির হবো।