Buy Now
23 December 2024
Bangladesh Travel Travel Blog

Lokkhibaor Swamp Forest

  • March 28, 2024
  • 0

Facebook WhatsApp Email লক্ষ্মী বাওড় জলাবন বা লক্ষীবাওড় সোয়াম্প ফরেস্ট (স্থানীয় ভাষায় হরতির জঙ্গল / খরতির জঙ্গল ইত্যাদি) বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় অবস্থিত। উল্লেখ্য যে, বানিয়াচং পুরো

Share:
Lokkhibaor Swamp Forest
Facebook
WhatsApp
Email
লক্ষ্মী বাওড় জলাবন বা লক্ষীবাওড় সোয়াম্প ফরেস্ট (স্থানীয় ভাষায় হরতির জঙ্গল / খরতির জঙ্গল ইত্যাদি) বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় অবস্থিত। উল্লেখ্য যে, বানিয়াচং পুরো উপজেলাই হচ্ছে কেবল একটি মাত্র গ্রাম। যার নাম বানিয়াচং গ্রাম। উক্ত এই গ্রামকে এশিয়া তথা পুরো বিশ্বের বড় গ্রাম হিসেবে ধরা হয়। যদিও এ বিষয়ে কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। (বিভ্রান্তি এড়াতে নতুনদের জানিয়ে রাখা আবশ্যক।) হবিগঞ্জ জেলা শহর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বানিয়াচং গ্রাম এর প্রাণক্রেন্দ্র বড়বাজার শহর থেকে মাত্র প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার দূরে এই জলাবনের অবস্থান। প্রাকৃতিক এই জলাবনটির একেকে ঋতুতে একেক রুপ। বর্ষাকালে পুরো জলাবনের অর্ধেক গাছ পর্যন্ত পানি থাকে যা নৌকা ভ্রমণে আসা পর্যটকদের জন্য সুন্দর অনূভুতির কারণ হলেও চারিপাশে বসবাসকারী মানুষদের জীবনযাপনে বেশ কষ্টকর হয়ে ওঠে। প্রতিটি বাড়ি থেকে বের হতে হয় ছোট ছোট নৌকার সাহায্যে। একমাত্র বর্ষাকাল ছাড়া বছরের বাকি সময়ে জলবনটি পুরো শুকনো অবস্থাতেই থাকে। বনের চারিপাশে হাওড় ও নদী বিস্তৃত, দক্ষিণের দিকে খড়তি নামক নদীর বিরাট হাওরের মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় স্থানীয়রা এই জলাবনকে খড়তির জঙ্গল নামে ডাকতে শুরু করেন। তবে থেকেই এই নাম প্রচলিত হতে শুরু করে। বনটিকে প্রবেশ করলে মনে হবে হিজল আর করচ গাছের কোনো এক বাগানে প্রবেশ করা হয়েছে। মিঠাপানির জলাবনটিতে চোখে দেখার মতো উদ্ভিদের মধ্যে হিজল-কড়চ ছাড়াও রয়েছে বরুণ, কাকুরা, বউল্লা, খাগড়া, চাইল্লা, নল ইত্যাদি অসংখ্য গাছ ও গুল্ম-লতা ও নাম না জানা অনেক উদ্ভিদ। বন জংগল এলাকা থেকে প্রাকৃতিক ভাললাগা থাকলেও এই বনে কিন্তু সাঁপের আবাস বেশি। বিষাক্ত ও জীবননাশকারী অনেক প্রজাতির সাপ এখানে হরহামেশাই দেখা যায়, এদের মধ্যে রয়েছে কেউটে, লাড্ডুকা, দারাইশ সহ বিভিন্ন বিষধর সাপ। তাছাড়া জোঁক তো আছেই, শুকনো মৌসুমে তো গুই সাপও দেখা যায়। শিয়ালের পাশাপাশি রয়েছে মেছোবাঘ প্রভৃতি প্রাণী। হরেক রকমের বিরল প্রজাতির পাখির বসবাস এই জলাশয়ে/জলাবনে। এই জলাঞ্চলে বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েল, সাদা বক, ঘুঘু, বালি হাঁস, পানকৌড়ি ও শালিকসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় পাখির পাশাপাশি শীতকালে প্রচুর পরিযায়ী পাখিও আসে। এটি দেশী ও অতিথি পাখির অভয়ারন্য হিসাবে সংরক্ষিত এলাকা। এছাড়াও এখানকার খাল-বিল ও হাওড়-বাওড়ে পাওয়া যায় প্রচুর মিঠাপানির মাছ। সোস্যাল মিডিয়ার বদৌলতে নতুনভাবে তরুন ও বিভিন্ন বয়সের পর্যটক ও প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে এই সোয়াম্প ফরেস্টটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। জলাবনের চারিদিকে সবুজ গাছ, সবুজ ঘাসে হেটে আসতে পারেন আপনিও। ক্যাম্পিং এর জন্যও রয়েছে সুযোগ। ক্যাম্পিং ব্লগটি পেতে ওয়েবসাইটের বাংলাদেশ বাটনে সার্চ করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *